প্রিয় মা, সাতশো কোটির মানুষের মধ্যে তোমার হাসিটা সেরা।
❝মা কথাটি ছোট্ট অতি
কিন্তু জেনো ভাই,
ইহার চেয়ে নাম জীবন মধুর
ত্রিভুবনে নাই।❞
পৃথিবীতে মা এমন একজন মানুষ যাকে পৃথিবীর কোনো কিছু দিয়েই সংজ্ঞায়িত করা যাবে না। যার ভালবাসা পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে উর্ধ্বে, যিনি কখনো নিজের লাভ ক্ষতির হিসেব করেন না, সবসময় সন্তানের মঙ্গলের জন্য যিনি কাজ করে যান। পৃথিবীতে প্রতিটি মা তাঁর সন্তানের মুখখানা একটি বার দেখার জন্য সহ্য করেন অজস্র যন্ত্রণা। বিজ্ঞান বলে,একজন মানুষ ৪৫ ইউনিট ব্যাথা একবারে সহ্য করতে পারে কিন্তু একজন মা যখন একটি শিশুকে জন্ম দেন ,তখন তিনি ৫৭+ ইউনিট ব্যাথা সহ্য করেন !!
এই ব্যাথা একসাথে ২০ টি হাড্ডি ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাথা থেকেও বেশি !!
সুতরাং মায়ের তুলনা পৃথিবীতে কেবলই মা।
প্রতিটি মা সন্তান জন্মদানের পর থেকেই শুরু করেন জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।
সন্তানের লালন-পালন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় তার প্রতিটি মুহুর্ত। কখন তাঁর নাড়ি ছেঁড়া ধনের কি প্রয়োজন তা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি। সন্তানের যাবতীয় সকল বিষয়ে তিনি থাকেন সবচেয়ে সচেতন।
সন্তানের প্রতি কোনো অবহেলা ঘাটতি কোনো মা-ই হতে দেন না। এ জন্যই ‘অ্যামি ট্যান’ বলেছেন, ❝একজন মা হলেন তিনি যিনি আপনার হৃদয়কে প্রথম স্থানে পূর্ণ করেন।❞
পৃথিবীতে তোমার হাজার হাজার বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী থাকবে, কিন্তু সবশেষে তুমি একজন মানুষকেই খুজে পাবে, যাকে তুমি শত আঘাত দেওয়ার পরেও সে শুধু তোমার ভবিষ্যত নিয়েই ভাবে, আর তিনি হলেন মা।
মায়ের অকৃত্রিম ভালোবাসায় বেড়ে উঠে একটি শিশু। যাঁর প্রধান সঙ্গী তাঁর মা।
পৃথিবীর বুকে শতশত মা আজ লাঞ্চিত, নির্যাতিত। প্রতিটি মানুষ তাঁর মাকে তাঁর নিজ হৃদয়ে লালন করুক, ধারণ করুক সেই আশা ব্যক্ত করি।
জন্মদাত্রী হিসেবে আমার, আপনার, সকলের জীবনে মায়ের স্থান সবার ওপরে৷ তাই মাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানানোর জন্য একটি বিশেষ দিনের হয়ত কোনো প্রয়োজন নেই৷ তারপরও আধুনিক বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটিকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে, যার সূত্রপাত ১৯১৪ সালের ৮ই মে থেকে৷ সঙ্গে উপহার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা কার্নেশন ফুল৷ সমীক্ষা বলছে, বছরের আর পাঁচটা দিনের তুলনায় এদিন অনেক বেশি মানুষ নিজের মাকে ফোন করেন, তাঁর জন্য ফুল কেনেন, উপহার দেন৷ আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো, মায়েদের কি আলাদা করে কোনো উপহারের প্রয়োজন পড়ে? তাঁরা যে সন্তানের মুখে শুধুমাত্র ‘মা’ ডাক শুনতে পেলেই জীবনের পরম উপহারটি পেয়ে যান৷
লেখক : মোঃ সিয়াম হোসাইন